স্বাস্থ্য

পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, রংপুর

বাংলাদেশে কয়টি পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র আছে 

সম্মানিত পাঠক, আসসালামুয়ালাইকুম। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আপনারা বা আপনি আজকে যে বিষয়টি জানার জন্য সার্চ করেছেন তা একটি অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই।তাাই আমরা আজকে আপনাদের বাংলাদেশের একটি বিভাগ রংপুর,এই বিভাগপুর বিভাগের পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাব।পাশাপাশি এখানে টেস্ট কিভাবে করা হয় ,বাংলাদেশের কয়টি পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, পরমাণু চিকিৎসা এবং ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে আপনাদেরকে অবহিত করব। আপনারা মনোযোগ সহকারে আমাদের আজকের এই বিষয়টি পড়বেন আশা করছি অনেক উপকৃত হবেন।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত চার দশকের চেয়েও বেশি সময় ধরে বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বাস্থ্য, শিল্প ,কৃষি, পরিবেশ, জ্বালানি, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন হিসেবে। আরো আটটি পরমাণু চিকিৎসা ইনস্টিটিউট উপস্থাপনের কাজ চলছে ।দেশের সর্ববৃহৎ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন কর্তৃক পাবনা রূপপুরে ১২০০  মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র  বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।এছাড়াও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ক্ষত প্রদাহ জনিত রোগ নিরাময়ে অ্যামনিয়ন টিস্যু ও বোনগ্রাফট প্রক্রিয়াজাতকরণের পর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে সরবরাহ করে থাকে।

পরমাণু চিকিৎসা কি

স্বল্প মূল্যে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড সাইন্স বা পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র।এ কেন্দ্রে ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা থাইরয়েডের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রেডিও  নিউক্লিয়ার ইমেজিং, রেডিও থেরাপী সহ বিভিন্ন পরীক্ষা হয় পরমানু চিকিৎসা কেন্দ্রে। তেজস্ক্রিয় রেডিও আইসোটোপ ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করাই হচ্ছে যে পরমাণু চিকিৎসা ।

পরমাণু টেষ্ট কি

পরমাণু চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের জন্য রেডিও একটিভ সাবস্টেন্স ব্যবহার করা হয়। যে কোন পরমাণুকে  রেডিও একটিভ করলে রেডিয়েশন রিলিজ হয়। এ রিলিজ হওয়া রেডিয়েশনেক রোগ নির্ণয়ের জন্যব্যবহার করা হয়। রোগী ভেদে আইসোটোপ গুলির ধরন এবং তেজস্ক্রিয়তা আলাদা আলাদা হয় থাকে। আইসোটোপ গুলি রোগির শরীরে নিউক্লিয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে গামা রশ্মি বা গামা ফোটন তৈরি করে। রোগীর শরীর থেকে বের হওয়া গামা রশ্মি বা বা গামা ফোটনে শরীরের তথ্য থাকে। গামা ক্যামেরা এই গামা ফোটন গুলি সংগ্রহ করে এবং সেখান থেকে রোগের বিভিন্ন অর্গানের ছবি সংগ্রহ করে। ফলে রোগের রোগ সম্বন্ধে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।

পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, রংপুর

চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরমাণুর শক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থার আরো অধ্যাপক উন্নতি হয়েছে।পরমাণু চিকিৎসা একটি বিশেষায়িত চিকিৎসা পদ্ধতি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় করা হয় ।দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১৪ টি পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে রংপুর। রংপুরের এই কেন্দ্রে সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সরঞ্জাম রাখা হয়েছে ।এ কেন্দ্রে গামা ক্যামেরা, প্লানার ক্যামেরা,থাইরয়েড আপটেক সিস্টেম,  বোন মিনারেল,  ডেনসিটোমিটার, আলট্রাসনোগ্রাম, কালার ডপলার, কিডনি এবং থাইরয়েড ক্যান্সার রোগীদের জন্য তেজস্ক্রিয় থেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে।শল্য চিকিৎসার পরবর্তী বিডা- রেডিয়েশন থেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশে কয়টি পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র আছে

ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড সাইন্স বা পরমানু চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে বিশ্বস্ততার চিকিৎসা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের মোট খুলনা সহ 15 টি পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে আটটি কেন্দ্রে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তার মধ্যে ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন সাইন্স,রংপুর একটি।এখানে প্রতিদিন শুক্রবার বাদে সকাল আটটা থেকে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই সেবা সমূহ প্রদান করা হয়। এবং সেটি স্বল্প পরিমাণে অর্থের মাধ্যমে করানো সম্ভব ন হয়।

 নিউক্লিয়ার মেডিসিন ব্যবহার করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ স্ক্যান করা হয়।এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। তাই পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।  বাংলাদেশের পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে  আরো অত্যাধুনিক জিনিসপত্র বা যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সুসজ্জিত করলে আমরা সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে আরো উন্নত উন্নত সেবা পাব। সেজন্য পরমাণু শক্তি কমিশনকে আরো ঢেলে সাজানোর জন্য সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আকুল আবেদন। সম্মানিত পাঠক, আশা করছি আমাদের এই প্রতিবেদনের অনেক উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *