সর্বজনীন পেনশন স্কিম হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি যুগোপযোয়ী ও কার্যকরী একটি উদ্যোগ। যার মাধ্যমে দেশের সব নাগরিককে একটি সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনা হবে। এই স্কিমের মূল লক্ষ্য হলো সকল নাগরিকদের অবসরকালীন আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে সুরক্ষিত করা।সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের একটি সামাজিক নিরাপত্তা উদ্যোগ, যার লক্ষ্য দেশের সকল নাগরিককে অবসরকালীন আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা। ২০২৩ সালে চালু হওয়া এই স্কিমটি বিভিন্ন আয়ের স্তরের মানুষকে পেনশন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করার সুযোগ দিবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম সমূহ:
বাংলাদেশ সরকার যেহেতু দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য এই স্কিমের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এসেছে তাই সর্বস্তরের মানুষের কথা চিন্তা করে এই টেনশন সিস্টেমকে তিনটি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। যাতে করে দেশের ব্যবসায়ী চাকরিজীবী প্রবাসী এমনকি দিনমজুর পর্যন্ত এই স্কুলের আওতায় থাকতে পারে স্কিনগুলো হল:
প্রগতী পেনশন স্কিম: যারা প্রাইভেট চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী বা আত্মকর্মী,উদ্যোক্তাকর্মীদের জন্য এই প্রগতি পেনশন স্কিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুরক্ষা পেনশন স্কিম: প্রবাসী ও দৈনিক মজুরির কর্মীদের জন্য সুরক্ষা পেনশন স্কিমব্যবস্থা করা হয়েছে।প্রবাসীরা বিদেশে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে সে দিক বিবেচনা করে সুরক্ষা পেনশন স্কিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সমতা ও প্রজ্ঞা স্কিম: বয়স ও অন্যান্য উপার্জনের স্তরের উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা পেনশন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ
১. যোগ্যতা: ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। এটি সাধারণত প্রবাসী ও দেশের অভ্যন্তরে কর্মরত সকলের জন্য উন্মুক্ত।
২. অবদান (কন্ট্রিবিউশন): পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিতে হয়, যা তাদের ভবিষ্যৎ পেনশন তহবিলে সংযুক্ত হয়।
৩. পেনশন সুবিধা: নির্ধারিত বয়সে পৌঁছানোর পর, অংশগ্রহণকারীরা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেনশন পাবেন। এটি তাদের আর্থিক স্থিতি বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
৪. সুবিধাভোগী নির্বাচন: মৃত্যু বা বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীকে এই তহবিলের একটি নির্দিষ্ট অংশ প্রদান করা হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্দিষ্ট তথ্যাদি প্রদান করতে হবেসরকারি ওয়েবসাইট বা নির্ধারিত অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালার সংশোধনী (আগস্ট ৭ ২০২৪)
এই স্কিমটি দেশের সাধারণ মানুষকে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান এবং দেশের সামগ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।নিম্নেসর্বজনীন পেনশন স্কিম এর সংশোধনী বিধিমালা তুলে ধরা হলো……
আসুন আমরা সবাই মিলে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করি। দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে রাখি। আশা করছি সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পেরে অনেক উপকৃত হয়েছেন।